ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে জয়যুক্ত করতে ৭৫টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আয়োজিত পরিষদের এক বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা এ ঘোষণা দেন।
সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়র প্রার্থী হতে চাননি। প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রার্থী করেছেন। একদিকে ব্যারিস্টার তাপসকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করেছেন এবং আরেকদিকে তিনি একজন আইনজীবী প্রার্থী। তাই তাকে জয়যুক্ত করতে হবে। এটা আমাদের দায়বদ্ধতা।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ব্যারিস্টার তাপস আমাদের আইনজীবীদের মধ্য থেকে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তাই তাকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আইনজীবীদের মধ্য থেকে একটি করে কমিটি করতে চাই।’
পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘ব্যারিস্টার তাপসকে জয়যুক্ত করতে আমরা যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে আমাদের নিজেদের প্রমাণ দিতে হবে। তাহলেই আমরা বিজয়ের মুখ দেখতে পাবো।’
পরিষদের সদস্য সচিব ও ডিএসসিসি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘এর আগে আমার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১০-এ একটি ময়লার স্তূপ সরাতে আমি সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেছিলাম। সেখানে থেকে বলা হলো, আইনি জটিলতার কারণে ওই স্থানে ময়লা অপসারণ সম্ভব হচ্ছে না। পরে আমি তাদের আইনের জটিলতা-সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বললাম। তখন ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করলেন। তিনি আইনজীবী কিনা, আমি তার কাছে জানতে চাইলাম। কিন্তু তিনি জানালেন, তিনি আইনজীবী নন। তাহলে এই হলো সিটি করপোরেশনের অবস্থা যেখানে একজন আইন কর্মকর্তা আইনজীবী না হয়েও দায়িত্বে আছেন! তখনই চিন্তা করলাম এর পরিত্রাণ দরকার।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আইনপ্রণেতার পথ থেকে কেন এই মেয়র পদে নির্বাচনের পথ বেছে নিলাম, সে বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। এর ব্যাখ্যা হলো, আমার চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে। ঢাকার অবহেলা, অবজ্ঞা, গাফিলতি ও দুর্নীতি আর সহ্য হয় না। কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে নইলে তিনি একা হয়ে যাবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন নিয়ে আমার মতামত হলো— এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি নির্দলীয় ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নির্বাচন। কিন্তু এটা একটি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে, এটা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি এই সংস্থাটি আবার নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এবং এর মাধ্যমে আমাদের রাজধানী ঢাকাকে গড়ে তুলতে পারবো।’
পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে সভায় অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ অন্য আইনজীবী নেতারাও বক্তব্য রাখেন।