যারা ক্ষমতায় থাকে তারা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পঞ্চম দিনের মত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছিলেন খন্দকার মাহবুব। গত পাঁচ কার্যদিবস ধরে খালেদার আইনজীবীদের এই যুক্তি উপস্থাপন চলছে। আজকেই এই যুক্তি দেয়া শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে বিচারককে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আপনি ন্যায় বিচার করবেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করবেন। এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়দা নিতে চান। কিন্তু সবক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না।এটা সে রকমের একটি মামলা।’
বিচারকের উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘আপনার কাছে একটা নিবেদন থাকবে এই মামলায় যে ছায়া নথি আনা হয়েছে সেটি ঘষামাজা, স্বাক্ষরবিহীন কাগজপত্র। সেটা দিয়ে মামলাটি করা হয়েছে। খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে ঘষামাজা কাগজ দিয়ে করা মামলায় যদি সাজা দেয়া হয় তাহলে সারা জাতি এর বিচার করবে।’
তিনি বলেন, এ মামলায় রাজনৈতিক গন্ধ রয়েছে। এ মামলাটি রাজনৈতিক কালেমাযুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলা দেয়া হয়েছে। ১৭ বছর পর কোন অশুভ ইঙ্গিতে প্রদীপ জেগে উঠলো। অশুভ ইঙ্গিত ছাড়া এ ধরনের মামলা হতে পারে না। এর চেয়ে অনেক কঠিন মামলা রয়েছে। আমরা হয়তো থাকবো না। ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকবে। সেই মামলাগুলোর বিচার হবে।
মাহবুব বলেন, সব এভিডেন্স (তথ্য প্রমাণ) দেখা যায় যে, এখানে একটি টাকাও তসরুপ হয়নি। এখানে খালেদা জিয়াকে যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল ১১টা ৫মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে ১১টা ৩০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন।
বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান পঞ্চম দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। যা এখনো চলমান।
আদালত প্রাঙ্গণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম