ভারতের রাজধানীতে মাস্ক পরতে বলায় রিভলভার বের করে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লেন এক আইনজীবী। শুধু তাই নয়, ওই আইনজীবীর সাথে থাকা এক নারীর বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীকে চড় মারেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় গত শনিবার মধ্যরাতে (৮ জানুয়ারি) এমন ঘটনা ঘটেছে। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় কার্তুজ সহ উত্তরপ্রদেশের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিভলভারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ সেই সাথে পরদিন রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে দিল্লিতে কোভিডবিধি মানার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে৷ সেই মতো পুলিশ দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় টহল দিচ্ছিল৷ সেই সময় গাড়িতে করে আসছিলেন এক ব্যক্তি৷ সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এবং বোন ছিলেন৷ কিন্তু, তাঁদের কারও মুখে মাস্ক ছিল না ৷ পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকে মাস্ক পরতে বলে৷ অভিযোগ সেই সময় গাড়িতে থাকা তিনজনই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন৷
এমনকি সেখানে উপস্থিত এক মহিলা কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে চড় মারেন৷ আর তার পরেই ওই ব্যক্তি নিজের লাইসেন্সড রিভলভার বের করে শূন্যে গুলি চালায়। এই ঘটনার পরেই সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা, অভিযুক্তদের আটক করে৷ ততক্ষণে সীমাপুরী পুলিশ স্টেশন থেকে মহিলা কনস্টেবলসহ বাহিনী ঘটনাস্থলে চলে আসে৷
এরপর ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় রিভলভারটি৷ সেই সঙ্গে ২০টি কার্তুজ এবং কার্তুজের পাঁচটি খালি শেল উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ এ সময় তাদের গাড়ি থেকে মদের বোতলও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মাতাল অবস্থাতেই এসব করেছেন তারা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন আইনজীবী৷ তিনি দিল্লির নন্দনগরীতে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷ অভিযুক্ত ওই আইনজীবীর বাড়ি পূর্ব দিল্লির পতপারগঞ্জে৷
এদিকে একজন আইনজীবী হয়ে এভাবে আইন ভাঙা এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হামলা, মহামারি আইন ভাঙাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ৷