ফেনীর আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিবকে সংশ্লিষ্ট কোর্ট পরিদর্শক কর্তৃক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন। একইসঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসকের নিকট দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জনা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিবকে গত ২ জানুয়ারি ফেনী জেলা জজ আদালতে আইন পেশা পরিচালনাকালে কোর্ট পরিদর্শক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ওই ঘটনা প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে ফৌজদারি অপরাধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে, অনতিবিলম্বে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসকের নিকট দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ফেনীর আদালতের নাজমুস সাকিব নামে এক আইনজীবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন কোর্ট পরিদর্শক জিলানী। ভুক্তভোগী আইনজীবী বিষয়টি প্রথমে মৌখিক ও পরে ৪ জানুয়ারি লিখিত আবেদন জানিয়ে বিচার দাবি করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সভা ডাকে জেলা আইনজীবী সমিতি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন (২ জানুয়ারি) মনির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির জামিন দেন আদালত। জামিননামাটি যথাসময় না পৌঁছানোর কারণ জানতে চান ওই ব্যক্তির আইনজীবী নাজমুস সাকিব। জবাবে কোর্ট পরিদর্শক জিলানী কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। উপরন্তু অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিবের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে অফিস থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
এরপর বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন আইনজীবী সাকিব। এছাড়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখতি অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে রোববার (৯ জানুয়ারি) জরুরি সভা ডাকে জেলা আইনজীবী সমিতি।
সভায় আইনজীবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে কোর্ট পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানীকে প্রত্যাহার করতে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। সেই সাথে সভায় এই সময়ের মধ্যে তাকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।