নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইনের খসড়ায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আসছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার শর্তে দু’টি পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়।
আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে বিলে পরিবর্তন আনার কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতাসংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছিল, সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তাঁর অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় কিছুটা সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হবে ইসি
এ ছাড়া অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধারায় বলা হয়েছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু ‘কারাদণ্ড’ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
গত রোববার বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে গত ১৭ই জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।