ঘুষের টাকাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহাম্মদ নাজমুল কবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার দুদক ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের টিম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ে ওতপেতে ঘুষের দুই লাখ টাকাসহ ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে।
পরে দুদক ঢাকা-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নাজমুল কবিরকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, যশোরের শেখ মহব্বত আলী টুটুল ওই অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের আওতাধীন দেশি মদের লাইসেন্সধারী। তার মদ বিক্রির দোকান ঝিকরগাছা উপজেলার যাদবপুরে। লাইসেন্সটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য নবায়ন করতে সোনালী ব্যাংক যশোর করপোরেট শাখায় দেওয়া ফির টাকার চালানসহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিন লাইসেন্স নাবায়ন না করে আটকে রাখা হলে মহব্বত আলী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল কবিরের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় নাজমুল কবির তার কাছে লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়ার বিনিময়ে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি ঘুষ দিতে সম্মত না হওয়ায় লাইসেন্সটি আটকে রাখা হয়। মহব্বত আলী আবারও ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বলা হয়, দুই লাখ টাকা না দিলে নবায়ন করা হবে না। মহব্বত আলী এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগ পেশ করেন।
বুধবার বিকেলে টুটুল ঘুষের দুই লাখ টাকা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অফিসে গিয়ে নাজমুল কবিরকে দেন। নাজমুল কবির ওই টাকা রাখেন তার টেবিলের ড্রয়ারে। কিছু সময় পর সেখানে গিয়ে দুই লাখ টাকাসহ নাজমুল কবিরকে আটক করা হয়।
দুদক কর্মকর্তা নাসিম আনোয়ার বলেন, অফিসে ঢুকে প্রথমেই তার ড্রয়ারের চাবি নেওয়া হয়। ড্রয়ার খুলে দুই বান্ডিলে দুই লাখ টাকা এবং আরও কয়েক বান্ডিল টাকা পাওয়া যায়। এ সময় সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, নাজমুল কবিরকে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হচ্ছে।