ক্ষোভ থাকলেও দেশের প্রধান বিচারপতির কাজকর্ম নিয়ে তাঁদের অসন্তোষ সাংবাদিক সম্মেলনে উগরে দিয়ে চার প্রবীণ আইনজীবী সঠিক কাজ করেননি বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে, বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বৈঠকে আলোচনা হলেই ভাল হত।
বিষয়টির ফয়সালা হবে কী ভাবে, তা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করতে শনিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসছে বার অ্যাসোসিয়েশন। তার পর সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হবে অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে জানানো হবে অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ সিংহ বলেছেন, ‘‘ওঁরা যখন সাংবাদিক সম্মেলনই ডাকলেন, তখন ওঁদের এমন কিছু বলা উচিত ছিল, যার বাস্তব ভিত্তি রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, ওই সাংবাদিক সম্মেলন আগে থেকে ভেবেচিন্তে করা হয়নি। ওঁরা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।’’
যেহেতু সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির কাজকর্মের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন শীর্ষ আদালতের চার প্রবীণ আইনজীবী, তাই বার অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, এ ব্যাপারে যা করণীয়, তা প্রধান বিচারপতিরই করা উচিত। তবে অ্যাসোসিয়েশনও তার সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি করবে না।
শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়ির লনে সাংবাদিকদের ডেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও তাঁর তিন সহকর্মী বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, রঞ্জন গোগোই ও মদন লোকুর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের কাজকর্মের পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন।
বিচারপতি জে চেলামেশ্বর বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের কাজকর্ম ঠিক মতো চলছে না। প্রধান বিচারপতির কাজকর্মে স্বচ্ছতার অভাব থেকে যাচ্ছে। বেছে বেছে বিচারপতিদের মামলা দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও সিনিয়রিটির বাছবিচার করা হচ্ছে না। এমনকী, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলাও দেওয়া হচ্ছে জুনিয়র বিচারপতিদের।’’
চার প্রবীণ বিচারপতির অভিযোগ, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখে সবক’টি বিষয় জানানো সত্ত্বেও, তাঁর সঙ্গে আলাদা ভাবে আলোচনায় বসার পরেও সমস্যা মেটেনি। কোনও ঐকমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতের চার প্রবীণ বিচারপতির অভিযোগের পর বিজেপি-র তরফে বলা হয়েছে, পূর্বতন কংগ্রেস জমানা থেকেই ওই রোগ বাসা বেঁধেছে সুপ্রিম কোর্টের অন্দরে। আর কংগ্রেস বলেছে, বিচারপতিরাই আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটিয়ে নিন।
(আনন্দবাজার পত্রিকা)