ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালটির উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এ হামালার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা উপাচার্যকে মুক্ত করে নিয়ে যান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লোহার রড় ও লাঠি নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।
পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করলে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর দিয়ে মূল ফটক হয়ে বেরিয়ে যেতে চান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া করে আন্দোলনকারীদের মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মাহাদী, ছাত্র ফেডারেশন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির ও সমাজতান্দ্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রগতি বর্মন ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন।
হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ ভিসি স্যারকে উদ্ধার করতে গিয়েছে। এ সময় অবস্থানরত বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলে আমরা মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি।’
সংঘর্ষে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জাকির হোসাইন।
এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-এর ঢাবি শাখা সভাপতি ইভা মজুমদার বলেন, আমরা নিপীড়নদের বিচারের দাবিতে এসেছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমাদের ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে।
বর্তমানে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি প্রশাসনিক ভবনের পেছনে অব্স্থান করছেন। আর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে গত ১৫ জানুয়ারির আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘নিপীড়নের’ প্রতিবাদে আন্দোলনে যোগ দেয় নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারের দাবিতে গত ১৭ জানুয়ারি প্রক্টর কার্যালয়ও ঘেরাও করে তারা।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম