অবকাশে হাইকোর্টে দুই ধাপে ১৪ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুপ্রিম কোর্ট

আপীল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন ২৫৯ আইনজীবী

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে মামলা পরিচালনার তালিকাভুক্ত হয়েছেন ২৫৯ জন আইনজীবী। আপীল বিভাগের এনরোলমেন্ট কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হাইকোর্টের এসব আইনজীবীকে আপীল বিভাগে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আপীল বিভাগের এনরোলমেন্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।

আপীল বিভাগের অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আইনজীবীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

সভায় প্রত্যেক সদস্যের স্বতন্ত্র মতামতের ভিত্তিতে এসব আইনজীবীকে আপীল বিভাগের অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় প্রত্যেক সদস্যের স্বতন্ত্র মতামতের ভিত্তিতে আপীল বিভাগের আইনজীবী হতে ৩০১ জনের করা আবেদন স্থগিত রাখা রয়েছে।

প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছরই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কিছু আইনজীবীকে আপিল বিভাগে ওকালতি করতে তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকা করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের সব বিচারপতির কাছে এই আইনজীবীদের মামলার তালিকা, কাজের পারফরম্যান্স, আচার-ব্যবহার, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জ্ঞানের গভীরতাসহ সবকিছু বিবেচনা করে বিচাপতিরা এই আইনজীবীদের আপিল বিভাগে ওকালতি করতে অনুমতি বা সুপারিশ করেন।

বেশিরভাগ বিচারপতি আইনজীবীর পক্ষে লিখলে তাকে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করতে অনুমতি দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর হাইকোর্টের এই আইনজীবীদের ফাইলগুলো চলে যায় আপিল বিভাগের বিচারপতিদের কাছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরা হাইকোর্টের বিচারপতিদের মতামত দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন কাকে আপিল বিভাগে ওকালতি করতে অনুমতি দেওয়া যাবে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আপিল বিভাগের আইনজীবীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে। এই প্রক্রিয়াগুলো করা হয় সুপ্রিম কোর্ট রুলস ১৯৮৮ পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের (সংশোধিত) আদেশ ৪-এর বিধি ২২ অনুযায়ী।