বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাইনামিক পারসোনালিটি বলে আখ্যায়িত করেছেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান। এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান” এবং “জাতীয় সংবিধান দিবস” উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান মালদ্বীপের সংবিধান রচনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও এর বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন।
এরপর বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ করে তিনি এই অঞ্চলের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উল্লেখ করার পাশাপাশি এই প্রভাব মোকাবেলা ও ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে দুই দেশের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফর এবং সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন ডাইনামিক পারসোনালিটি।
তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি মালদ্বীপের স্বাস্থ্যখাত, উচ্চশিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নে এবং সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় এর পিছনের ৩০ লক্ষ শহীদ ও আড়াই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানী এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নবগঠিত রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র রচনার পিছনের মহান পুরুষদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশের জন্য একটি সুলিখিত ও যুগপৎ সংবিধান রচনায় বঙ্গবন্ধুর অবদান, ত্যাগ ও কর্মের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রীম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পিছনের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যকলাপের কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি চমতকার থিম লোগো ডিজাইন, দেশ -বিদেশের মননীয় বিচারপতিগণসহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, তিনটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন, জাতির পিতা ও শহীদ আইনজীবীদের স্মরণে স্মৃতি চিরঞ্জীব নামক স্মারক সৌধ নির্মাণ এবং তত্ব ও তথ্যে আলোকচিত্র ভরপুর ৫টি স্মারক গ্রন্থের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি এই সফল আয়োজনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সকল মাননীয় বিচারপতিগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার কথা স্বীকার করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।