প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদের দায়বদ্ধতা কেবল সুপ্রিমকোর্টেই নয়, সমগ্র বিচার বিভাগেই। বিচার বিভাগের সার্বিক মানোন্নয়নে সিনিয়র আইনজীবীদের বর্ধিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাবদ্ধ প্রয়োগ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান বিচারপতি নিজের বক্তব্যে সিনিয়র আইনজীবীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সিনিয়র আইনজীবী শুধু একটি টাইটেল নয় বরং তার চেয়েও বেশি কিছু।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত ২৭ জন আইনজীবীকে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সদ্য তালিকাভুক্ত সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম, দেশের বিচার বিভাগের জন্য আমি দীর্ঘমেয়াদী বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এই পরিকল্পনা আগামীর আইনাঙ্গনে রূপরেখার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশর সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলবৃন্দ, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেছি। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, বিচার সেবার সহজীকরণ, ডিজিটাইলেজশন ও বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে আপনাদের গঠনমূলক মতামত ও পরামর্শ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত পেলে আমরা বিচার বিভাগের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সক্ষম হবো বলে আমার বিশ্বাস।
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জুনিয়র আইনজীবীদের কাছে নিজেদের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।