স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটা স্মার্ট জুডিসিয়াল সিস্টেম প্রয়োজন। তাই দ্রুত উপায়ে গ্রহণযোগ্য বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি মেডিয়েশন আইন ও সেন্টার করা এখন সময়ের দাবি।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে বুধবার (১২ জুন) এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার বলেন, বর্তমানে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪২ লাখেরও বেশি। আজ থেকে নতুন কোনো মামলা না হলেও এ বিপুল সংখ্যক মামলার নিষ্পত্তি হতে ১০ বছর লেগে যেতে পারে। একজন আইনজীবী হিসেবে দেখেছি লিটিগেশন ও আরবিট্রেশন বছরের পর বছর চলে।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুই কোম্পানির বিরোধের কারণে। অ্যাপিলেট ডিভিশন এ মামলাটি গেলে প্রধান বিচারপতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে দেন দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে।
তিনি বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগসহ গোটা অর্থনীতি আইনের শাসনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। দ্রুত ও কার্যকরী বিচার ব্যবস্থা থাকলে দেশে বিদেশি কোম্পানিদের বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে। তাই দ্রুত গ্রহণযোগ্য বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি মেডিয়েশন আইন ও সেন্টার করা এখন সময়ের দাবি। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটা স্মার্ট জুডিসিয়াল সিস্টেম প্রয়োজন।
নিজের নির্বাচনী এলাকা নিয়ে ব্যারিস্টার ফারজানা বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা একটি ঘনবসতিপূর্ণ উপজেলা। যেখানে বিপুল সংখ্যক দুঃস্থ তবে কর্মক্ষম নারী রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বল্প সুদে বিনা জামানতের ঋণ দিতে পারলে তারা একেকজন উদ্যোক্তা হতে পারবে। স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে। তাই আমি তাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।