বিচারক নিয়োগ নীতিমালায় প্রাধান্য দিচ্ছে সংস্কার কমিশন

বিচারক নিয়োগ নীতিমালায় প্রাধান্য দিচ্ছে সংস্কার কমিশন

বিচারিক আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও মামলার খরচ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কমিশনের বৈঠক শেষে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান বলেন, “আমরা জনসাধারণের সুখ সুবিধাটা দেখব। একটা মামলার প্রসেস দিয়ে আরম্ভ হয়, মামলাটা কোর্টে ফাইল করেন, তার সমন যায় বিবাদীর কাছে। বিবাদী পেলে এটার উত্তর দেয়। তারপরে মামলা আরম্ভ হয়। মামলা ফাইলিংয়ের পরেই এই যে সমন জারিটা এটা বেদনাদায়ক একটা প্রসেস।”

বিচারিক আদালতের পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “একটা সমন ইস্যুতে দেখা যায় সাতবার আটবার ফেরত আসে। এটার কারণ দুই দিকেই আছে, বাদীপক্ষের যারা আছে ওরাও দায়ী, আদালতও দায়ী আর বিবাদীতো যদ্দিন না নিয়ে দেরি করতে পারে। আমরা এটা কীভাবে নিরসন করা যায় সেটার দিকে নজর দেব। এটা নিয়ে প্রাথমিক আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা এটা করবো, বিলম্ব যাতে না হয়।”

এসময় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান মামলার মাত্রাতিরিক্ত খরচের কথাও উল্লেখ করেন।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য পৃথক সচিবালয় নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সুপারিশ দেব। আপনি বিচার করলেন, মামলায় রায় পেলেন মামলার রায় কার্যকর করবে কে? সরকার, তো আমরা সেপারেশন কীভাবে হলাম, সরকার ছাড়াতো আমরা চলতে পারছি না। এবসোলিউট সেপারেশন হবে না। লেজিসলেশন বলেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিসিয়ারি বলেন আমাদেরকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। অন্যান্য যারা আছেন তারা যাতে যে রায়টা দিলাম এটাকে সম্মান করেন। কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিসিয়ারি বলতে কিছু নাই।”

“আমরা চাইবো ইন্টারফেয়ারেন্স যাতে না হয়। বিচার এক জায়গায় শেষ হতে হবে। সবাইকে খুশি করে বিচার করা যাবে না,” বলেন তিনি।

বিচার বিভাগের আস্থার সংকট ফেরাতে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।