ফেনীতে নিজাম হাজারী ও সাবেক এসপি-ওসির নামে যুবলীগ নেতার মামলা

ফেনীতে নিজাম হাজারী ও সাবেক এসপি-ওসির নামে যুবলীগ নেতার মামলা

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সাবেক পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং এএসপি (ডিএসবি) মো: আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো: সাফায়াতের আদালতে মামলাটি করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ভুঁইয়া।

ওই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, নিজাম হাজারীর ক্যাশিয়ার ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শরীফ উল্লাহ, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক হাজারী, পৌর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটু, ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি আবুল কালাম আজাদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাশেদ খান চৌধুরী, নিজাম হাজারীর বডিগার্ড এসআই নজরুল ইসলাম, এসআই মাহবুবুর রহমান, ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন‘জুনিয়রকে’ পিপি নিয়োগ দেওয়ায় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ‘সিনিয়রের’ বিরুদ্ধে

মামলায় শাখাওয়াত উল্লেখ করেন, নিজাম হাজারী অস্ত্র মামলায় সাজা কম খেটে জালিয়াতির মাধ্যমে বের হয়ে ফেনী পৌরসভার মেয়র ও সদর আসনের এমপি হন। এ ঘটনায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

এ ঘটনায় নিজাম হাজারী ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে গুম-খুনের পরিকল্পনা করে। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ফেনী এলে তার বাড়ি থেকে আটক করে শারিরীকভাবে অমানুষিক নির্যাতন করে। বাধা দিতে চাইলে তার বৃদ্ধ মাকে শারিরীকভাবে আঘাত করে।

এ সময় ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাকে চোখ বেঁধে হত্যার উদ্দেশে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। এলোপাতাড়ি পেটানোর পর তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শাখাওয়াত আরো উল্লেখ করেন, থানায় নেয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে এএসপি আমিনুল ইসলাম বেদম মারধর করে। তার দৃশ্য এসআই নজরুল ইসলাম ভিডিও কলে নিজাম হাজারীকে লাইভ দেখায়।

পরে নিজাম হাজারীর নির্দেশনা অনুযায়ী এএসপি আমিনুল হক, ওসি আজাদ এবং রাশেশের নেতৃত্বে শাখাওয়াতকে চোখ বেঁধে ক্রসফায়ারের উদ্দেশে গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে এএসপি আমিনুল ইসলামকে ১৫ লাখ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা গাড়ি পোড়ানোর মামলাসহ তিনটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।