ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে ‘অভিযোগ বাক্স’ খুলেছেন শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মিঞা সোমবার (১৭ মার্চ) এ–সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছেন। পত্রটি জেলা ও দায়রা জজসহ আদালতের সব বিচারক, আদালত পুলিশ, সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবে পাঠানো হয়েছে।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেয়ালে একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুঠোফোন নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ, ই–মেইলেও অভিযোগ জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির একটি সভায় আদালতের পেশকার, পিয়ন ও কোর্ট পুলিশের ঘুষ দেওয়ার টাকার হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার ওই টাকার হার নির্ধারণের জন্য করা একটি সভার রেজল্যুশন (কার্যবিবরণী) আদালতের বিভিন্ন কর্মচারী, আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারীদের দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। আইনজীবী সমিতির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিচারপ্রার্থী জনতা, আইনজীবী ও সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আওতাধীন যেকোনো আদালত বা শাখায় বিচারিক সেবা গ্রহণের সময় কোনো প্রকার ঘুষ, দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ থাকলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বাইরে দেয়ালে স্থাপিত অভিযোগ বক্সে ও নির্ধারিত নম্বরে সরাসরি ফোন করে, হোয়াটসঅ্যাপ ও ই–মেইলে জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া কোনো ধরনের ঘুষ গ্রহণ বা প্রদানের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ভিডিও, অডিও, ছবি ও কোনো প্রমাণ থাকলে সেগুলো জানানোর অনুরোধ করা হয়। প্রতিটি মাধ্যমে গৃহীত অভিযোগ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সামছুল হক সরকার বলেন, ‘শরীয়তপুরে আদালতের কোনো কর্মচারী ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। আইনজীবী সমিতি আমাদের বদনাম করার জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করেছেন। আমরা দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। আদালতের কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে কোনো পক্ষ বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি করতে পারে। যার কারণে এ–সংক্রান্ত অভিযোগ, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নেওয়া হবে।’