বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল (এনএলসি)।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস. এম. জুলফিকার আলী জুনু।
তিনি বলেন, “ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে, সম্প্রতি ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগ স্থানান্তরের একটি প্রস্তাব প্রশাসনিকভাবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ঐতিহ্য, সংবিধানিক কাঠামো এবং আইনজীবী সমাজের বাস্তবতা ও সুবিধার পরিপন্থি।”
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা কেবল প্রশাসনিক রাজধানী নয়—এটি দেশের বিচারব্যবস্থার কেন্দ্রস্থল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান কার্যালয়সহ উচ্চ আদালতের সব কার্যক্রম এবং আইন পেশার অবকাঠামো এখানেই গড়ে উঠেছে।
ফলে ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগ স্থানান্তরের প্রস্তাব “বাস্তবতা বিবর্জিত, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।
তিনি আরও বলেন, “বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ এ কেন্দ্রীয় কাঠামোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। এটি শুধু একটি প্রশাসনিক জোন নয়, এটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মেরুদণ্ড।”
অ্যাডভোকেট জুলফিকার বলেন, “হাইকোর্ট বিভাগ ঢাকার বাইরে সরানো হলে তা শুধু বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ নয়, বরং আইনজীবীদের পেশাগত, আর্থিক ও পারিবারিক ভারসাম্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এটি দেশের বিচারব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত শক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করার একটি চক্রান্তের অংশ।”
বিবৃতিতে ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল এই প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায় এবং বিচার বিভাগের ওপর “অযাচিত হস্তক্ষেপ” বন্ধের আহ্বান জানায়।
সংগঠনটি জানান, এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আইনজীবী সমাজ, নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।