জামালপুর জজ কোর্টের প্রতিভাবান তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল আইনজীবী শাহ্ মোহাম্মদ কবীর

মো. রবিন ইসলাম : ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জজ কোর্টে অ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীর আইন পেশায় নিয়োজিত। এই কোর্টে কাজ করেছেন অনেক প্রথিতযশা আইনজীবী। তাদের মধ্যেই কেউ কেউ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হয়েছেন। অ্যাডভাকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীর এ কোর্টের নামকরা আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি তার দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং ক্লায়েন্টদের প্রতি অতুলনীয় যত্নের জন্য অল্পদিনের মধ্যে্ আইনি দক্ষতা দিয়ে সুধিমহলে অর্জন করেছেন পরিচিতি, সুনাম ও খ্যাতি। বয়সের মাপকাঠি দিয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতার বিচার করা যে ভুল, সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন এ আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীর দেওয়ানি, ফৌজদারি, পারিবারিক এবং ব্যবসায়িক মামলাসহ সব ধরনের মামলায় পারদর্শী। তিনি প্রতিটি মামলাকে খুব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং ক্লায়েন্টদের প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ আইনি পরামর্শ দেন। তার মামলার বিশ্লেষণ ক্ষমতা, পরিচালনার দক্ষতা এবং সঠিক আইনি পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে তিনি নিজেকে জামালপুর জজ কোর্টে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বুদ্ধিদীপ্ত আইনি লড়াইয়ে তিনি একাধিক মামলায় সুফল পেয়েছেন।

তিনি প্রান্তিক মানুষের মামলা বিনা ফিসে পরিচালনা করেন। পরিশ্রম, সততা, মেধা, আন্তরিকতা ও অধ্যবসায়ের বলে ওকালতি পেশাগতজীবন উন্নত করা যায় তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন। অ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীর তার ক্যারিয়ার আরও উচ্চতায় পৌঁছানোর আশা করেন। আইনের প্রতি সম্মান বজায় রেখে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে চান তিনি। তিনি আইনি পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন।

অ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীর

অ্যাডভাকেট শাহ্ মোহাম্মদ কবীরের জন্ম জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার খাশিমারা গ্রামে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে মেধা কোটায় বৃত্তি অর্জন করেন তিনি। তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, মেলান্দহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন । উল্লেখ্য, ছাত্রজীবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ছোটবেলা থেকেই ওকালতির মতো একটি চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসার স্বপ্ন ছিল শাহ্ মোহাম্মদ কবীরের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স ডিগ্রি করার পর একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহুজাতিক ওষুধ ফ্যাক্টরিতে ম্যানেজারিয়াল পদে কিছুকাল চাকরি করে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন তিনি। মূলত আইন পেশার প্রতি সমাজের মানুষের সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তিনি নিজেকে একজন আইনজীবী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সেই সুবাদে বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই আইনের প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি বিভিন্ন আইনি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য অর্জন করেন এবং বিভিন্ন আইনি গবেষণা প্রবন্ধ লিখেন যা প্রশংসিত হয়। পরবর্তীকালে ক্যারিয়ার গড়েন আইনজীবী হিসেবেই।

আরও পড়ুন : কোর্ট রুম ডিজিটাইজড, আসামি কারাগারে রেখেই হবে শুনানি

তিনি আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির একাধিক বারের নির্বাচিত সাবেক সম্পাদক এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল সাহেবের কাজি ল’ চেম্বার, ঢাকায় জুনিয়রশিপ গ্রহণ করেন। তার সঙ্গে কাজ করার সময়ই তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন ।

তার কাজ ও দক্ষতা দেখে ব্যারিস্টার বাদল সাহেব কাজি ল’ চেম্বার, ঢাকায় জুনিয়র ল’ইয়ার হিসেবে কাজ করার জন্য সুযোগ করে দেন। বর্তমানে তারই প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কাজি ল’ চেম্বার, জামালপুর শাখায় অ্যাসোসিয়েট ল’ইয়ার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গত কারণে তিনি প্রতিনিয়ত আইনি প্রাকটিস শিখছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার বাদল সাহেবের নিকট থেকে।

তিনি নির্ভুল আইনি সেবা দিতে ও আইন বিষয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আইনি জটিল বিষয়ে তিনি পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যালমিডিয়ায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। কৌশল, বিচক্ষণতা, আইনি জ্ঞান ও ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে একজন আদর্শ আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

আইনি যেকোনো সমস্যার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা তার আইনি সেবা পেশার সাফল্য কামনা করছি। তাকে জানাই অভিনন্দন ও শুভকামনা ।

লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক