ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর ছেলে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের মালিকানাধীন প্রায় ২০ কোটি শেয়ারের হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। এই শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের প্রায় ২৩ শতাংশ।
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান ব্যাংক এশিয়ার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
ব্যাংক এশিয়া সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও তাঁর ছেলে সায়েম আহমেদ ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ১২৯ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। তবে এই ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়নি। দুই দফা পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়ার পরও তাঁরা ঋণ পরিশোধ করেননি। ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে ব্যাংক এশিয়া আদালতের কাছে তাঁদের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আবেদন করে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত কেন এই শেয়ার অবরুদ্ধ করা হবে না— তা জানতে চেয়ে ব্যাংক এশিয়াকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। পাশাপাশি শেয়ার হস্তান্তর রোধে আদালতের আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে—
-
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান
-
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি
-
ব্রোকারেজ হাউস শাকিল রিজভি স্টক লিমিটেডের এমডি বরাবর
এছাড়া, সাধারণ জনগণকে অবহিত করতে দুটি জাতীয় দৈনিকে নোটিশ প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
আদালতের নথি অনুযায়ী—
-
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদের নামে শেয়ার রয়েছে ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৪টি। প্রতিটির বাজারমূল্য ৪১ টাকা ১০ পয়সা অনুযায়ী মোট মূল্য প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা।
-
তাঁর ছেলে সায়েম আহমেদের নামে রয়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৭টি শেয়ার। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে বাবা ও ছেলের নামে মোট ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৩১টি শেয়ার রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৮১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।