আগামী ১৪ ডিসেম্বর রোববার উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আজ (বৃহস্পতিবার) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেশের জেলা আদলতগুলোতে কর্মরত উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের সকল জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে “বিদায়ী অভিভাষণ’’ প্রদান করবেন।
বিচার বিভাগের সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়নে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি, বিদায়ী অভিভাষণে তার বাস্তবায়নে গত দেড় বছরে গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করবেন। বিশেষ করে, চলমান বিচার বিভাগীয় সংস্কার কার্যক্রম তথা প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্প্রসারণ, বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, আদালতের সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, অধস্তন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিচারপ্রার্থী জনগণের সেবাপ্রাপ্তী সহজীকরণ এবং মামলাজট নিরসনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের সকল বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিচার বিভাগের সংস্কারের ঐতিহাসিক রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। উক্ত রোডম্যাপে তিনি বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেন। তার ঘোষিত সেই রোডম্যাপ রূপরেখাকে ঘিরেই গত দেড় বছরে বিচার বিভাগে বিভিন্নমুখী সংস্কার সাধিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ অবসরে যাবেন। অবসরে যাওয়ার পূর্বে দেশের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এটিই হবে তার সর্বশেষ অভিভাষণ।

