গাইবান্ধায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির রাজের বাসায় ঢুকে তার প্রথম স্ত্রী ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিচারকের অন্তঃসত্ত্বা দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবি, তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালিয়েছেন।
বাড়ির কেয়ারটেকার জানান, চারদিন আগে শহরের ভি-এইড রোডের একটি বাসা ভাড়া নেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির। মঙ্গলবার (৫ জুন) দুপুরে বাসায় যান তার প্রথম স্ত্রী শামীমা আকতার।
এক পর্যায়ে কর্মস্থলে থাকা আলমগীর কবিরকে মোবাইল ফোনে খবর দেন দ্বিতীয় স্ত্রী মোনালিসা। তার অভিযোগ, বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি তার পেটে লাথি মারেন শামীমা। এক পর্যায়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রথম স্ত্রী শামীমা। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে, প্রায় চার ঘণ্টা তার বাসায় অবস্থান করেন সদর থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। যদিও ক্যামেরার সামনে কথা বলেনি পুলিশ।
দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, ‘জজ সাহেবের বাসায় কাজ করার সময় আমাকে তার ভালো লাগে। তারপর আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমি দেশের বাড়ি চলে যাই। তার ২৫ দিন পরে বাসা ভাড়া করে আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।’
বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন, ‘বিচারকের প্রথম স্ত্রী এসে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।’
এদিকে বিচারকের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তার প্রথম স্ত্রী বলেন, ‘তোমার কয়টা স্ত্রী থাকতে পারে? তোমার বিবেকে বাঁধে নাই? আমাদের না দুইটা বাচ্চা আছে। তুমি না জ্ঞানী লোক। একজন বিচারক।’ সময়টিভি
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=lgefjz-QjLc]