কারাগার থেকে টেলিফোনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজিসহ তার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন মহাখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার। চাঁদার জন্য বিভিন্ন জনকে হুমকিও দিচ্ছেন তিনি।
হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আক্তার বর্তমানে রয়েছেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে। এক সপ্তাহ আগে তাকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ১-এ।
গত ২৬ অক্টোবর আক্তার কারাগার থেকে দুটি সেলফোন নম্বর দিয়ে ফোন করেন মো. বাপ্পী নামে জুরাইনের এক ব্যক্তিকে। ফোনে তার কাছে কারাবন্দি সহযোগীদের জামিনে বের করার খরচ বাবদ তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়। এ টাকা না দিলে বাপ্পীকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন শীর্ষ এ সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর তিনি কদমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই জিডিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার যে দুটি নম্বর থেকে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়। পরে পুলিশ ওই মোবাইল নম্বর দুটির কল ডিটেইল রেকর্ড যাচাই করে দেখতে পায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকেই এই ফোন করা হয়েছে।
মো. বাপ্পী আমাদের সময়কে বলেন, প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় আমি জিডি করেছি। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ পুলিশের নেওয়ার কথা। নিজের নিরাপত্তা শঙ্কার কথাও জানান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-এ থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আক্তার কারাগারের ভেতরে ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণও করে আসছিলেন। কয়েকজন অসাধু কারা কর্মকর্তা ও সদস্যকে টাকা দিয়েই তিনি কারাগারের ভেতর ইয়াবা বাণিজ্য শুরু করেন। সুবেদার আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল কাদের তাকে এ কাজে সহযোগিতা করতেন। এ ছাড়া আলমগীর নামে এক কারারক্ষীও আক্তারের ইয়াবা বাণিজ্যের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মহাখালী ও আইজি গেট এলাকায় সহযোগীদের দিয়ে দেদার চাঁদাবাজি করে আসছেন আক্তার। কিছু দিন আগে তিনি কারাগারের ভেতর মোবাইল ফোনসহ ধরা পড়েন। পরে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে মাফ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগে আক্তারকে হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়। তার ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। যেন কারাগারের ভেতর সে কোনো অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিতে না পারে।
-আমাদের সময়
সম্পাদনা- ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম