ভারতের উচ্চ আদালত: ফাইল ছবি

নাবালিকা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের শামিল: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ’কে ধর্ষণ এবং অপরাধের শামিল বলে গণ্য করা হবে বলে এক রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এখন থেকে ১৫ নয়, স্ত্রীর বয়স ১৮-র নীচে হলেই যৌনমিলন ধর্ষণ।

আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দিয়েছেন।

ঐতিহাসিক রায়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী স্বামীকে সুরক্ষা দেয়া সংবিধান এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।

এ দিনের রায়ে আদালত জানায়, যদি কোনও পুরুষ তাঁর ১৮ বছরের কম বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে আইনের চোখে তিনি অপরাধী। এমন ঘটনা ঘটার এক বছরের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন।

দেশটিতে ২ কোটি ৩০ লাখ অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী আছে। সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।

দেশে শিশু বিবাহ একটি বাস্তবতা এবং এ ধরনের বিয়ের রক্ষা করা উচিত; ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এমন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এই রায়ের আগে ১৮ বছরের কম বয়সী স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী সুরক্ষা পেত সঙ্গী। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী কোনও পুরুষ ১৮ বছরের কম বয়সের কোনও মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা অপরাধের আওতায় পড়ে। কিন্তু যদি সেই মেয়ে তার বিবাহিতা স্ত্রী হয় তা হলে মেয়েটির ইচ্ছা না থাকলেও তা ধর্ষণ হিসেবে গ্রাহ্য হত না।

গত ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন বি লকুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চান সংসদ কীভাবে একটি ব্যতিক্রমী আইন তৈরি করতে পারে; যখন একজন স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের নিচে।

পরে ৩৭৫ ধারায় অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখার বিষয়টি অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য জরিপ বলছে, ভারতের ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের ৪৬ শতাংশই ১৮ বছরের আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক/লইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম