বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৬ লাখ ১৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিকের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬ শত ৫৮ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। এ ছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর আলাদাভাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৯ হাজার ২২ জন এতিম শিশু শনাক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার এক তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে।
বৃহস্পতিবার কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ৯৭ জন পুরুষ ও ১ হাজার ২ শত ১৯ জন নারীসহ ২ হাজার ৬ শত ১৬ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ২২ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩৭ জন নারীসহ ২ হাজার ৫৯ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ২ শত ৯০ জন পুরুষ ও ৩ শত ৭০ জন নারীসহ ৬ শত ৬০ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৫৭ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৪ শত ১৫ জন নারীসহ ২ হাজার ৫ শত ৭২ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩ শত ৯৬ জন পুরুষ ও ৮ শত ৩২ জন নারীসহ ২ হাজার ২ শত ২৮ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১ শত ৩৫ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৪ শত ৫২ জন নারীসহ ২ হাজার ৫ শত ৮৭ জন, লেদা ক্যাম্পে ১ শত ৯৯ জন পুরুষ ও ২ শত ৭ জন নারীসহ ৪ শত ৬ জন এবং আজ ৭টি কেন্দ্রে মোট ১৩ হাজার ১ শত ২৮ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এই নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ১৫ হাজার। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।