মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে- সরকারের জারি করা এমন গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল করিম ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন উপ হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি) খন্দকার সহিদুল ইসলাম।
গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) চিঠি দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কাগজপত্রের সত্যতা না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাকে প্রত্যয়ন করা যায়নি।
এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সহিদুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, ভারতীয় তালিকায় এবং লাল মুক্তি বার্তায় তার নাম আছে। ১৯৮১ সালের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অডিটর পদে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরইমধ্যে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট জারি করে।
ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে’।
পরে সহিদুল ইসলাম ওই রিটে এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ১৩ বছর না হওয়ার কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করছে না অডিটর অফিস।
আলতাফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার হাইকোর্ট গেজেট নিয়ে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সহিদুল ইসলামকে অতিরিক্ত উপ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) এর দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম