ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ছেলের হাতে বাবা খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি গ্রামে এই খুন হয়।
নিহত বাবার নাম ওয়াহেদ মোল্লা (৭৫)। ছেলের নাম কালু মোল্লা (২৮)। বাবা ওয়াহেদকে খুন করার অভিযোগে গতকাল রাতেই ছেলে কালুকে আটক করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল নাগাদ মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওয়াহেদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, ওয়াহেদ ভিক্ষা করতেন। তাঁর ছেলে কালু মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি মাদকদ্রব্য বিক্রিও করতেন। গত রাতে বাবা-ছেলে এক ঘরেই ছিলেন। গভীর রাতে গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ওয়াহেদের ঘরে আসেন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, কালুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
কালুর দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত রাতে বৃদ্ধ ওয়াহেদ তিন-চারবার শৌচাগারে যান। এতে কালুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। একপর্যায়ে কালু ক্ষুব্ধ হয়ে বাবার গলা টিপে ধরেন। তিনি তাঁর বাবার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোচ দেন। এতে ওয়াহেদের মৃত্যু হয়।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম