বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধর্ষণ ও সন্তানের পিতার স্বীকৃতি চেয়ে দায়ের করা মামলার আসামি হামিদুর রহমানকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলার গাবতলী উপজেলা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে হামিদুরকে গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামিদুর রহমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীর (১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ১৩ জানুয়ারি দুপুরে ওই তরুণীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন হামিদুর। এতে করে তরুণীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য হামিদুরের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ৩ অক্টোবর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেন তরুণীটি। এ ঘটনায় মেয়েটির বড় ভাই বাদী হয়ে গত ১৪ অক্টোবর হামিদুরের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি ধর্ষণ ও সন্তানের পিতার দাবিতে মামলা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, থানা হাজতে হামিদুর এই ধর্ষণের সত্যতা ও সন্তানটি তাঁর বলে স্বীকার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার পর থেকে হামিদুর রহমান পলাতক ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামিদুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে শনিবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম