জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো নানা প্রতিবাদ কর্মসূচী চলছে চট্টগ্রাম কোর্ট হিল এলাকায়। এসময় প্রথমে আইনজীবীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন অতঃপর মৌন মিছিলে অংশ নেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীদের পূর্ণ কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতিকালে কোনো আইনজীবী আদালতের কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। আদালত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারন করেছেন। এ দিন দুপুর বারটায় নতুন আদালত ভবন চত্বরে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মৌন মিছিল আদালত পাড়া প্রদক্ষিন করে।
আদালত চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বার কাউন্সিলের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, হত্যাকারী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবীদের আন্দোলন চলবে।
এর আগে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম আদালত ভবনে দেড় ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং বিশাল মানববন্ধন পালন করে আইনজীবীরা। দুপুর দুইটায় আদালত প্রাঙ্গণে প্রয়াত আইনজীবী বাপ্পীর নামাজে জানাজায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।
এদিকে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত নূরুল হুদা জানান, আইনজীবী হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা এক মহিলাকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে নগরীর চকবাজার থানার কে.বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী খুনের তিন দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রাশেদা বেগম নামে এক নারীকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলে হত্যা রহস্যের সমাধান হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত শনিবার দুপুরে নগরের চকবাজার থানার পশ্চিম বাকলিয়া কেবি আমান আলী সড়কের বড় মিয়া মসজিদ এলাকার এন ইউ ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে ওমর ফারুক বাপ্পী নামের আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন বাপ্পী।
বাপ্পীর লাশ উদ্ধারের তিনদিন আগে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন এক নারী। চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেন বলেন, আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই নারী জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছি আমরা।
তিনি বলেন, তাকে গ্রেফতার করা গেলে কিভাবে, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তা বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। তাছাড়া হত্যাকাণ্ডে কতজন অংশ নিয়েছিল তারও খোঁজ পাওয়া যাবে। ওই নারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
চট্টগ্রাম থেকে রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম