অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক (ফাইল ছবি)

শিক্ষায় ক্যাডার-নন ক্যাডারদের স্বতন্ত্র রাখা উচিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, বিসিএস নন-ক্যাডারদের জন্য স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রয়োজন। দুইটা স্ট্রিমকে (বিএসএস ক্যাডার-নন ক্যাডার) স্বতন্ত্র রাখা উচিত।

আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আইন অনুসরণ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ না দেয়ার রিটে অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত জানান।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, এ সুযোগে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটা পরিচ্ছন্ন রায় দেয়া উচিত। আদালত বিসিএস নন-ক্যাডারদের জন্য স্বতন্ত্র বিধিমালা করে দিতে পারে।

এ সময় আদালত বলেন, আমরা এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারি। পরে আদালত থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে বলেছি যে, সরকারের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। জাতীয় স্বার্থে জাতীয়করণ করা খুবই ভালো কাজ’। দ্বিতীয়ত, এটি একটি জটিল সমস্যা। কারণ বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে যারা আসছেন এবং প্রাইভেট কলেজ থেকে যারা আসছেন তাদের চাকরিগত সুযোগ সুবিধা, সিনিয়রিটি- এগুলো নিয়ে সমস্যা আছে। এ সমস্যার সমাধান সরকারকেই করতে হবে। কিন্তু এ সুযোগে সুপ্রিম কোর্টের একটা পরিচ্ছন্ন রায় দেয়া উচিত’।

তিনি বলেন, আমি যতটা বুঝেছি তাতে বলেছি, দুইটা স্ট্রিমকে স্বতন্ত্র রাখা উচিত। স্বতন্ত্র রাখা ভালো হবে। যারা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে আসবেন তাদের সিনিয়রিটি, তাদের সুযোগ সুবিধা এটা যথা সম্ভব অপরিবর্তিত রাখতে হবে। আর যারা নতুন আসছেন তাদের মর্যাদা, তাদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা যতটা সম্ভব সরকার দেবেন। কারণ তারা তো আগে থেকেই বঞ্চনার মধ্যে আছে। সেই বঞ্চনা যেটুকু কাটানো যায়’। আদালত কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালত তো আমার কথায় সায় দিয়ে কথা বলছেন’।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আইনজীবী-শিক্ষাবিদ তিন জনকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট। নিয়োগ পাওয়া তিন অ্যামিকাস কিউরি হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল উল আলম।

এ মামলায় অপর দুই অ্যামিকাস কিউরি আগামী ১৮ জানুয়ারি তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করবেন। আদালতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষে করা রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে তৈরি করা আত্তীকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণ করে আসছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করছেন ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম