গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহে ২০০৩ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে নাইকো বাংলাদেশের আবেদনের শুনানি আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নাইকোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। এর আগে আরও দুই দফা মুলতবি করা হয়েছিলো।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা সব চুক্তি অবৈধ বলে ঘোষণা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও ব্লক-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতকে গ্যাসকূপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না।
নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।
২৪ আগস্ট গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত বছর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম রিট আবেদনটি করেন। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি, দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে’।
এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দেরও আবেদন জানানো হয়। এরপর গত বছরের ০৯ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম