প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা সবখানে স্থান করে নিয়েছে। তারা এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাইলট হিসেবেও কাজ করছে। সমাজের সবক্ষেত্রেই তারা এগিয়ে গেছে।’
আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বেগম ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনি একথা বলেন।
এদিন উদযাপিত হচ্ছে রোকেয়া দিবস। এ উপলক্ষে রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘সচিব, এসপি থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের বিশাল অবদান ছিল। তাই আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছি, নারী উন্নয়ন নীতিমালা করেছি। রাষ্ট্রপতিকে নারী জজ নিয়োগ দেওয়ার জন্যও বলেছি।’
বাধা পেরিয়ে নিজেদের মেধা বিকশিত করার উদ্যোগ নিতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা। তার কথায়, ‘বাধা আসবেই, সেগুলো অতিক্রম নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
নারী উন্নয়ন ও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ বছর পাঁচজন নারীকে রোকেয়া পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তারা হলেন চিত্রশিল্পী সুরাইয়া রহমান, লেখক শোভা রানী ত্রিপুরা, সাংবাদিক মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ (মরণোত্তর), সংগঠক মাজেদা শওকত আলী ও সমাজকর্মী মাসুদা ফারুক রত্না।
বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে তার জন্ম হয়। তার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম