সংবিধান নিয়ে আর কাউকে ফুটবল খেলতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘যারা সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সেই ষড়যন্ত্র ভেঙে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারিক আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালায় বিচার বিভাগের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই শৃঙ্খলাবিধির কারণে বিচার বিভাগের অধিকার ক্ষুন্ন হয়নি বরং বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধিতে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাতে উচ্চ আদালতের মর্যাদা বেড়েছে। যারা সমালোচনা করেছেন তারা গেজেট না বুঝে, না পড়েই সমালোচনা করেছেন।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয় ঐক্যমতে আসার পর গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা ২০১৭ এর গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার।
বিধিমালায় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতিকে করা হয়েছে। এছাড়াও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অর্থ রাষ্ট্রপতি বা তৎকর্তৃক সংবিধানের ৫৫ (৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত রুলস অব বিজনেসের আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম