ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হকের বিচারিক ক্ষমতা স্থগিত করেছেন আদালত। আইন বহির্ভূতভাবে রায় দেয়ায় বিচার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আব্দুর রহমান সরদার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষ যাতে ন্যায় বিচার বঞ্চিত না হয় সে জন্য আয়েশা হককে পরবর্তী বিচার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাইব্যুনালের সহকারী কর্মকর্তা মো. হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনগতভাবে মামলার রায় ঘোষণা না করায় টাইব্যুনাল আয়েশা হকের বিচারিক ক্ষমতা স্থগিত করেছেন।’
জানা গেছে, আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ২০১২ সালের ১০ মে ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ভাটারা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেয় ভাটারা থানা পুলিশ।
মামলার সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারি করেন আদালত। নোটিশ অনুযায়ী বিবাদী ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জবাব দেন এবং এরপর থেকে তারা আর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি। এ ছাড়া পরবর্তীতে বাদীসহ তিনজন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক ‘বিচার বহির্ভূতভাবে’ মামলাটি খারিজ করে দেন।
আইনগতভাবে কোনো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক মামলাটি খারিজ করে দেন।
পরে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খারিজ করে দেয়ার বিরুদ্ধে জজ কোর্টের রিভিশন মামলা (৯৭৪/১৬) দায়ের করেন বাদী আলাউদ্দিন। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। টাইব্যুনাল আজ এ রায় দিলেন। জাগোনিউজ