প্ররতারণা ও ভয়ভীতির ফাঁদে ফেলে শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ধর্ষণ ও সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১ মাস ১৫ দিন পলাতক থাকার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪দিকে জেলার গোসাইরহাট উপজেলার সাইখা ব্রিজের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থান্দার খায়রুল হাসান।
আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে গৃহবধূর ভিডিও ধারণ করে তাকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সে। আবার সেই ঘটনাও গোপনে ভিডিও করেন। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষণের শিকার নারীরা এসব কথা কাউকে না বললেও গত ১৫ই অক্টোবর থেকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রীসহ ৬ নারীর সঙ্গে আরিফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।
এএসপি থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, মামলা হওয়ার পর আরিফ হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশের তিনটি টিম তাকে ধরার জন্য কাজ করেছে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আরিফ এতদিন চাঁপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আজ চাঁপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকা থেকে শরীয়তপুর আসার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সাইখা ব্রিজের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ গত ১১ নভেম্বর ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আরিফ হাওলাদার তার স্বামীর আত্মীয় হওয়ায় এবং কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় মাঝেমধ্যে তার শ্বশুরবাড়িতে আসতেন। গত ১ মার্চ রাতে আরিফ ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ভিডিও করে। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আরিফ। একই দিন আরিফকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।