সুপ্রিমকোর্টের একটি নিজস্ব রেজিস্ট্রার অফিস রয়েছে। এই রেজিস্ট্রার অফিস থাকার কারণে পৃথকভাবে সুপ্রিমকোর্টের জন্য কোনো সচিবালয়ের প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কার্যকরী কমিটির আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকল বিচারালয় সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করছে। সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারিক আদালত যেভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করছে সেভাবেই পরিচালিত হবে। সুপ্রিমকোর্টের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হবে। যেহেতু সুপ্রিমকোর্টের একটি নিজস্ব রেজিস্ট্রার অফিস রয়েছে। এই রেজিস্ট্রার অফিস থাকার কারণে পৃথকভাবে সুপ্রিমকোর্টের জন্য কোনো সচিবালয়ের প্রয়োজন নেই। পৃথক সচিবালয়ের দাবি অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইনেরও পরিপন্থী।
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনের দাবি করে গেজেট সংশোধন করে পুনরায় আপিল বিভাগের দাখিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে সরকার যেই গেজেটটি প্রকাশ করেছে সেই গেজেট আপিল বিভাগের দাখিল করা হয়েছে। মাননীয় বিচারপতিগণ গেজেটটি গ্রহণ করেছেন। আপিল বিভাগ কর্তৃক গেজেট গ্রহণ করায় নতুন করে গেজেট সংশোধনের কোনো সুযোগ নাই। এ রকম দাবি জানানো হলে সেটি হবে আদালত অবমাননার শামিল।
এ অংশের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম হিরু, সদস্য হাবিবুর রহমান, কুমার দেবুল দে ও নূরে আলম উজ্জ্বল।
অপরদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আরেক সংবাদ সম্মেলনে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপন করে পুনরায় গেজেটটি সংশোধন করে আপিল বিভাগে উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।