সৌদি আরবের রিয়াদে রাজপ্রাসাদে বিক্ষোভ করায় দেশটির ১১ জন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি সরকারের এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এখন থেকে পানি ও বিদ্যুৎ বিল এই প্রিন্সদের নিজেদেরই দিতে হবে- এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে প্রিন্সরা। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, বাদশাহের আদেশে গ্রেপ্তারের পর সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা রয়েছে এমন একটি কারাগারে প্রিন্সদের পাঠানো হয়েছে। সৌদি অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
অবশ্য গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানা যায়নি। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ করে একটি অনলাইন ভিত্তিক সৌদি গণমাধ্যম ‘সাবক’।
সেখানে আরো বলা হয়, বিক্ষোভরত প্রিন্সরা গত বছর আরেক প্রিন্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঘটনার ক্ষতিপূরণও দাবি করছিলেন। এসব কাজে জনসাধারণ শান্তি বিঘ্নিত হওয়া ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় এনে প্রিন্সদের সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে সৌদি সরকার তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি নতুন অর্থনৈতিক সময়ে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছে। তারই অংশ হিসেবে দেশটিতে দ্বিগুণ করা হয়েছে তেলের দাম এবং বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের ওপর পাঁচ শতাংশ হারে ট্যাক্স বসানো হয়েছে। বেশ কিছু সরকারি ভর্তুকিও তুলে নেয়া হয়েছে।
গত নভেম্বরে দেশটির রাজপরিবারের অনেক সদস্য, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং শীর্ষ ধনকুবেরদের গ্রেপ্তার করে বন্দী করে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল একটি হোটেলে।
সৌদি যুবরাজের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সৌদি আরবে কয়েক হাজার রাজপরিবারের সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের সম্পদ এবং মর্যাদার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম