নিরাপত্তার স্বার্থেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার সাবিনা আক্তারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো নিরাপত্তার স্বার্থেই স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
‘তিনি (খালেদা) আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় অনেক লোকজন থাকে। থাকে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও। এতে সরকারি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আদালতে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন : খালেদার আরও ১৪ মামলা অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও ১৪টি মামলা বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
যেখানে আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুটি দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে।
গত বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকই অস্থায়ী আদালতের বিশেষ এজলাসে বসে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।
যে ১৪টি মামলা স্থানান্তর করা হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে ৯টি, বিশেষ জজ আদালতে ৩টি ও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২টি মামলা বিচারাধীন আছে।
মামলাগুলোর মধ্যে দুর্নীতির ৩টি মামলা সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। বাকি ১০টি মামলা ২০১৫ সালে, আর একটি ২০১৬ সালে করা।
বর্তমানে অস্থায়ী আদালতে যে দুটি মামলা চলছে তার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।
আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি হবে ৯ ও ১০ জানুয়ারি। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলেই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম