ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে সরকারকে গাইড লাইন তৈরি করতে বলা হয়েছিল। মোদির কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার একদিনের মাথায় সুপ্রিম কোর্ট সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজাতে হলে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে। তবে বাজানোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
জাতীয়তাবোধ প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় সংগীত ইস্যুতে বেশ কিছু বিতর্কের প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে সিনেমা হলে তা বাজানোর প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে একটি অন্তবর্তী মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি গড়ে তোলে সরকার। সেই কমিটির সুপারিশে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে জানায়, ২০১৬-র ৩০ নভেম্বর সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে আদালত যে অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেয়, তা প্রত্যাহারের পক্ষে তারা। সরকারের এই অবস্থানের পর সর্বোচ্চ আদালত নতুন নির্দেশনা জারি করলো।
এর আগে, শীর্ষ আদালতের তরফে জাস্টিস দীপক মিশ্রও এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সে সময় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে, কেন কারও দেশপ্রেম সব সময় প্রমাণ করতে হবে। মানুষ সিনেমা হলে যায় নিছক আনন্দ ও বিনোদনের জন্য। কেউ যদি বলে, সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজে, তাই শর্টস, টি শার্ট পরে আসা যাবে না, তা হলে কি তাই শুনতে হবে?
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এক নির্দেশনায় সর্বোচ্চ আদালত থেকেই ওই বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানায় , দেশের সমস্ত সিনেমা হল-এ সিনেমা শুরুর আগে বাজাতে হবে জাতীয় সংগীত। উপস্থিত সকল দর্শককে উঠে দাঁড়াতে হবে জাতীয় সঙ্গীতের সম্মানার্থে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, এর মধ্য দিয়ে দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হবে। যদিও এর পরে এই নির্দেশের কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় চিফ জাস্টিস দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম