ফোর-জি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলামের বিষয়ে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ফোর-জি লাইসেন্সিং নিয়ে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ আদেশ দেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মামলার বাদী বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রোববার পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ফোর-জি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলামের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আবেদন জানিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্সের পক্ষে রিট আবেদন করা হলে তার শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের চার ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ অনুসারে আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব জমা দেওয়ার দিন ছিল। তবে ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড গত বুধবার হাইকোর্টে রিট করে।
জানা যায়, ২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুটি নীতির পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তিটি। কেননা ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে তিনজনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোরজি) দেওয়া যাবে না। সরকারকে একটি দেওয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করেই ফোরজি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই আদেশ দেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম