জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ জামিন মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল (১৮ জানুয়ারি)। এ জন্য বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি স্থগিত করতে খালেদা জিয়ার পক্ষে এ আবেদনটি করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।
আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত বৃহস্পতিবার (আগামীকাল) পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হয়ে দুই মামলায় হাজিরা দেন।
আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবীরা।
আসামিদের উপস্থিতিতে বুধবার ১১টা ৩৫ মিনিটে বিচারকাজ শুরু করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি-তর্ক শেষ হলে অপেক্ষমাণ আছেন অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল।
এর আগে, খালেদা জিয়ার পক্ষে এগারো দিন অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হলে অপর আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আহসানুল্লাহ। সোয়া দুই ঘণ্টা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের পর আদালত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয়। মামলায় এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংকের দেওয়া দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনে দুদক।
জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম