ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং সম্প্রসারিত অংশের ১৮টি ওর্য়াডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে ওই আদেশের সত্যয়িত অনুলিপি সংগ্রহের পর সংশ্নিষ্টরা জানান, নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ইসি’র আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্থগিতাদেশের মেয়াদ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। হাইকোর্টের লিখিত আদেশ অনুসারে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং সম্প্রসারিত অংশের ১৮টি ওর্য়াডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ছয় মাস স্থগিত থাকবে। মঙ্গলবার এই আদেশের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে ইসিকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইসি আপিল করবে কি-না, এমন প্রশ্নে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত পাইনি। আদেশের কপি পর্যালোচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত জানাবে।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ইসি ভালো বলতে পারবে। তা ছাড়া লিখিত আদেশই চূড়ান্ত। এর পরে আর কোন কথা থাকতে পারে না।’
গত ১৬ জানুয়ারি ডিএনসিসি মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং সম্প্রসারিত অংশের ১৮টি ওর্য়াডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে দুটি রিট করা হয়। রাজধানীর ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এএ জাহাঙ্গীর আলম পৃথক এই রিট করেন। এর মধ্যে আতাউর রহমান ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীর আলম বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে ওই দুটি রিটের শুনানি নিয়ে পরদিন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আদেশ দেন। রুলে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ সংশ্নিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শুন্য হওয়া মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুসারে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের কথা ছিল।