আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থি হিসেবে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মনোনয়ন বোর্ড।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দলের নীতি নির্ধারকরা বসবেন এবং মনোনয়ন দেবেন। এ ব্যাপারে যে পদ্ধতি আছে সে পদ্ধতি অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা করবেন।
আজ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেষ্ঠ্য সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।
আওয়ামী লীগ থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের একটা নমিনেশন বোর্ড আছে। একটা পদ্ধতি দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আমি সেই নমিনেশন বোর্ডের সদস্য না। প্রধানমন্ত্রী সেই বোর্ডের সভাপতি। ওনারা যখন প্রার্থী সিলেকশন করে ঘোষণা করবেন তখনই জানা যাবে কাকে নমিনেট করা হয়েছে।
এর আগে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য ছিলো, তাই আমি বলেছি। তবে তারিখ ঠিক করে শিগগিরই নির্বাচন কমিশন আপনাদের জানাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের যে শিডিউল সেটাও তারা দিবেন। সংবিধানে লেখা আছে অনুযায়ী ৯০ থেকে ৬০দিনের মাঝখানে যে ৩০ দিন আছে। এই ৩০দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেইক্ষেত্রে ২৩ ফেব্রুয়ারির আগেই এই নির্বাচন হতে হবে। আমার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন এ সমন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তারা খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় মেয়াদে থাকছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান অনুসারে এক রাষ্ট্রপতি তার পদে দুই দুইবার থাকতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সব নিয়োগই হবে। সব সময় বলে এসেছি, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দেবেন।
অপর এক প্রশ্নে জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেট অধিবেশনে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করণে আইন পাশ হতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইন করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ পার্লামেন্ট সেশন শেষ হওয়ার পরে ছোট্ট একটা সেশন হবে। আইন পাসের সেশন। সেটার পরে বাজেট সেশনে হয়তো এ আইনটা পাস করাবো।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করা বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ এ বছরের ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম