প্রতিটি নাগরিকের মস্তিষ্কে যদি সচেতনতা না থাকে তাহলে সমাজে অপরাধ বাড়বে। যেমন কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তব্যের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতির সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে মোবাইল কোর্টের প্রয়োজন হতো না। একটি আইন সৃষ্টি হলে তার সুবিধা অসুবিধা দুইটাই থাকে। তবে দেশের বৃহত্তর জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট আমাদের আইনের শাসনের সঠিক ব্যবহারে সরাসরি উপকারে আসছে। মোবাইল কোর্ট যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। টিভিএনএ’র সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী মোতাহার হোসেন বলেন, আইনের যথার্থ প্রয়োগ খুঁজতে হলে, সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে, ভেজাল মুক্ত খাবার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা মোবাইল কোর্ট দুর্নীতিবাজদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ফলে অনেকেই দুর্নীতি থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সমাজে কিছু অপরাধ আছে যা বিচারের জন্য সাক্ষীর প্রয়োজন পড়ে না। যেমন কেমিক্যালের মাধ্যমে ভেজাল পণ্য বাজারজাতকরণ। এটার জন্য দ্বিতীয় কোনো সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। কেননা এটা সরাসরি ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন। অপরাধী তার অপরাধ স্বীকার করলে মোবাইল কোর্টের ফরম্যাটে অপরাধী স্বহস্তে তার অপরাধ লিখেন। পরবর্তীতে দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তিনি সেটাতে স্বাক্ষর করেন। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধীর অপরাধের উপর ভিত্তি করে জরিমানা করেন। পাঁচ বছর আগেও সারা দেশে ইলিশের সঙ্কট ছিল। সারা বছরে মাত্র একুশ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় এখন সবসময় আমরা ইলিশ মাছ পাচ্ছি যা ভ্রাম্যমাণ আদালতের দ্বারা সম্ভব হয়েছে। জাটকা নিধন প্রতিহত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাত তিনটার সময় অপারেশনে গিয়েছেন যা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব না।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রিন্স মাহামুদ আজিম