সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ ব্ছর বৃদ্ধি করে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সংবিধানের এ সংশোধনের মাধ্যমে আরও ২৫ বছর সংসদের নারী আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি কার্যকর থাকবে।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বেতার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
সংবিধান সংশোধন আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলে খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা।
পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিধির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় এই সংশোধনী আনতে হচ্ছে। এর ফলে একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে শুরু করে পরবর্তী ২৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনের বিধি কার্যকর থাকবে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ায় প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করবে আইন মন্ত্রণালয়। সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়াম লীগ সরকারের রয়েছে।
এর আগে তিন দফায় ৩৫ বছর বাড়ানো হয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে সর্বশেষ বাড়ানো নারী আসনের ১০ বছর মেয়াদ।
২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনে নারী আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ করা হয়। ২০০৯ সালে ৪৫ থেকে তা ৫০ করা হয়। ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৪৫টি নারী আসনের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম