তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ পাঁচটি ধারা বাতিল হলেও এ ধারায় যে মামলাগুলো চলমান সেগুলো বাতিল হবে না। উক্ত ধারা বাতিল হলেও চলমান মামলার ক্ষেত্রে বিচারক যে রায় দিবেন তা চূড়ান্ত বিবেচিত হবে।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম একথা জানান।
এসময় ৫৭ ধারাটি বাতিল হলেও এ ধারায় দায়ের করা মামলাগুলোর কী হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে যেহেতু ধারাটি থাকবে না বিচারকের রায়ই এখানে চূড়ান্ত।
ওই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিশ্চিত করেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা পুরোপুরি বিলুপ্ত করার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে।
এসময় ৫৭ ধারায় করা চলমান মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতের মামলাগুলো যথারীতি চলবে। তবে আদালতকে মনে করতে হবে এ সংক্রান্ত কোনও আইন নেই। তিনি যে রায় দেবেন সেটাই চূড়ান্ত।’
গত কয়েক বছরে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই আইনে ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞা কী হবে প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন,‘পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতির যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটা এখানে প্রযোজ্য হবে।’
সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া ৭শ’ ৪০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মামলা রয়েছে ৫৭ ধারার। ২০১৩ সালে প্রথম ৩টি মামলা হওয়ার পর প্রতি বছর মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে সারাদেশে ৩৩টি মামলা হলেও ২০১৫ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫২। ২০১৬ সালে ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলার সংখ্যা ২শ’ ৩৩টি, আর ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত এই ধারায় মামলা হয়েছে ৩শ’ ১৯টি।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম