সরকারি চাকুরিতে কোটা প্রথা বাতিল ও পুন:মূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি এবং জাতীয়করণ প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ ভাগসহ ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের জন্য কোটা প্রবর্তন করে আদেশ দেন।
পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা প্রথা সংষ্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি নিয়োগ কোটা রয়েছেন প্রতিবন্ধী ১ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি নাতনির জন্য ৩০ ভাগ, নারী ১০ ভাগ, জেলা কোটা ১০ ভাগ, ক্ষুদ্র ণৃ-গোষ্ঠির জন্য ৫ ভাগ, সব মিলে ৫৬ ভাগ কোটা চাকুরিতে বিদ্যমান রয়েছে।
দেশের বর্তমান ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ দৈনিক প্রত্রিকার প্রকিাশিত রিপোর্ট অনুয়ারী, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির এবং ২০ লাখ ১৬ হাজার ৬১৫ জন প্রতিবন্ধি। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক তথ্য অনুযায়ী দেশে মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ৯ হাজার; এই হিসেবে মোট জনসংখ্যার জন্য যেমন ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন নৃগোষ্ঠির জন্য কোটা থাকছে ৫ ভাগ।
২০ লাখ ১৬ হাজার ৬১০ জন প্রতিবন্ধির জন্য কোটা রয়েছে ১ ভাগ। এবং পিএসসপির তথ্যমতে ২১,২২ ও ২৫তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা তাদের পোষ্যদের সংরক্ষিত ৩০ ভাগ স্থলে ১০.৮,২.২, ও ৫.২ ভাগ পূর্ণ হয়েছিলো। বাকি সংরক্ষিত কোটা শুণ্য থেকে যায়।
এই আইনজীবী বলেন, দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখ। সব কিছু মিলে সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি এবং জাতীয়করণ প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার কোটা প্রথা অসাংবিধানিক। এটি সংবিধানের ১৯, ২৮, ২৯ ও ২৯(৩) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম