ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ হাইকোর্টে স্থায়ী হয়। এর ঠিক আট বছর পর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন সর্বশেষ এ ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির গ্রাম কোথায়? বিষয়টি নিয়ে অনেকের আগ্রহ ছিল। নানা জনের জিজ্ঞাসাও ছিল। তবে সবশেষ জানা গেল তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায়।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তার পিতা সৈয়দ মোস্তফা আলীও একজন আইনজীবী। কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর মা বেগম কাওসার হাসান গৃহিণী।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবনের কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সনে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮১ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতি হওয়ার পেছনে পিতা-মাতার অমূল্য অবদান রয়েছে। তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা, দোয়া এবং নিজের নিরলস কর্ম ও দক্ষতায় তিনি আজকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন। পিতা-মাতাই তাঁর কাজের অনুপ্রেরণা। বাবার কাছেই আইন পেশার হাতেখড়ি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতির।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শতবর্ষী বাবা-মা এখনও জীবিত রয়েছেন। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার তারা উপস্থিত ছিলেন। বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ও গর্বিত পিতা-মাতা। ছেলেকে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিতে দেখার দুর্লভ ঘটনার অবতারণা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম