নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেয়ায় মাসুদ পারভেজ (৩০) নামে পুলিশের এক সোর্সের চোখ তুলে নিয়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা হুমকি দিয়ে পারভেজকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে।
ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের শরীফবাগ এলাকায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
ঘটনার শিকার মাসুদ পারভেজ কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ ৭ তলা এলাকার আসাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুতুবপুরের শরীফবাগ, রসুলপুরসহ তার আশপাশের এলাকা মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অঞ্চলে ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক সোর্স কাজ করে। মাসুদ পারভেজও একই কাজ করে আসছিল। সম্প্রতি রসুলপুর আকনপট্টি এলাকার সজল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এছাড়া রহমান বাহিনীর সদস্যদের পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করে। এতে কুতুবপুর, কদমতলীর মাদক ব্যবসায়ীরা মাসুদ পারভেজের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার রাতে রসুলপুর আকনপট্টি গলিতে পারভেজকে দেখে কমদতলীর এনামুল, আকবর, লিখন, রহমানসহ ৭-৮ জন আটক করে মারধর করে। এক পর্যায়ে পারভেজ দৌড়ে শরীফবাগ এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ধারালো ছোরা দিয়ে পারভেজের ডান চোখ তুলে নেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ আহম্মেদ সুমন জানান, পারভেজ মূলত পুলিশের সোর্সের কাজ করলেও স্থায়ী ভাবে করে না। পারভেজের সঙ্গে কদমতলী ও কুতুবপুর এলাকার লোকদের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই তার উপর এ হামলা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম