বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই দুর্নীতির মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মামলার রায় নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এ রায় অবৈধ, বেআইনি ও আইনের লঙ্ঘন। নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে দূরে রাখার জন্যই এ রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে ধারায় বেগম খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেটা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ধারা নয়। তাই দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করা যায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই রায়ের রিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সরকার বাধা না দিলে তিনি প্রচলিত আইনেই বেরিয়ে আসবেন।
রায়কে ঘিরে সারাদেশে বিএনপির সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।
এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ ও খন্দকার মোশাররফ বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনও সংযোগ নেই। এই মামলার বাকি পাঁচ আসামির ক্ষেত্রে দুর্নীতির সংযোগের কথা বলা হলেও রায়ে খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সংযোগের কথা বলা নেই।
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারি তহবিলে এতিমদের জন্য কোনও তহবিল নেই। কুয়েত থেকে আসা টাকা লেনদেন করেছেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। টাকা ছাড় করার জন্য তিনি সরকারকে ব্যবহার করেছেন। সেই টাকার কিছুটা খরচ হলেও বাকিটা ব্যাংকে আছে, যা এখন সুদে-মূলে তিনগুণ হয়েছে। ফলে তহবিল তছরুপের কোনও বিষয় এই মামলায় নেই।
তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার বিষয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই এই দায়িত্ব পেয়েছেন। তার ও দলের স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বেই দল চলবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির সিনিয়র রিপোর্টার কাদির কল্লোল, ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম, জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের ব্যুরো চিফ হারুন উর রশীদ, ভারতীয় গণমাধ্যম জি মিডিয়ার ব্যুরো চিফ রাজীব খান, কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা, মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা ও পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিনিধিসহ আরও অনেকে।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জামিলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।