খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত দুদক নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনা করে তাকে সাজা কম দেয়া হয়েছে। তার সাজা বাড়ানোর জন্য আবেদনের সিদ্ধান্তের এখতিয়ার দুদকের। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে।
খালেদা জিয়া আপিল করলে বিরোধিতা করবে দুদক: এদিকে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিরোধিতা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এছাড়া রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে তারও বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর মধ্যেই রোববার সকালে দুদকের আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সত্যায়িত কপি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
এ সময় দুদকের খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আমরা তা কনটেস্ট (বিরোধিতা) করব, তিনি জামিন আবেদন করলে তাও কনটেস্ট করব। তিনি জানান, রায়ের সত্যায়িত কপি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে দুদক।
দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাতেই দণ্ডিত হয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে আছেন বিএনপি নেত্রী। এ মামলার রায়ের সার্টিফায়েড (সত্যায়িত) কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করবেন খালেদা জিয়া। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে জামিন আবেদন করা হবে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খুব তাড়াতাড়ি কারামুক্ত হবেন বলে আশাবাদী তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া মামলায় অন্য আসামি তার ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।