জাতীয় অন্ধ সংস্থার মহাসচিব খলিলুর রহমান হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরকার এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রমজান আলী ওরফে রমজান (পলাতক) ও টিপু ওরফে হীরা। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- হাসানুর রহমান (পলাতক), মিনহাজ, শহীদ মোস্তফা ও জাহিদুল ইসলাম। এদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আইয়ুব আলী, নুরুল আলম সিদ্দিকী, সোহাগ হোসেন হাওলাদার ও ইয়াকুব আলী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান মিরপুর-১ নম্বরে শাহ আলী বাগে জনতা হাউজিংয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইয়াকুব আলীর ভাড়া বাসায় নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। সেখানেই খলিলুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হাছিনা পারভীন মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ১০ জনেকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজন অন্ধ সংস্থার সদস্য। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই পাঁচজন হলেন মিনহাজউদ্দিন, আইয়ুব আলী, ইয়াকুব আলী, নুরুল আলম সিদ্দিক ও সোহাগ হোসেন। বাকি পাঁচজন ভাড়াটে খুনি। তারা হলেন রমজান আলী, হাসানুর রহমান ওরফে রুবেল, মো. শহিদ, টিপু ওরফে হীরা ও শহিদুল ইসলাম। হাসানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।